"স্বপ্ন-বিকাশ"

Monday, June 27, 2011

বিপদজনক ঝুঁকির তালিকায় বাংলাদেশ


জার্মানের ওয়ার্ল্ড রিস্ক রিপোর্টে এবার বাংলাদেশকে বিপদজনক ঝুঁকির তালিকায় রাখা হয়েছে।
একাধিক জার্মান ত্রাণ সহায়তাদানকারী সংগঠন এবং জাতিসংঘের সঙ্গে বন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাদলের যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি প্রকাশিত হল 'ওয়ার্ল্ড রিস্ক রিপোর্ট'। বাংলাদেশের হাজারো সমস্যার মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ অন্যতম। বিশ্ব উষ্ণায়নের বিরূপ প্রভাবের ফলেই প্রতি বছর এ দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে। মৃদু মৃদু ভূমিকম্প ভবিষ্যতে ভায়াবহ ভূমিকম্পের রুপধারণ করতে পারে।

'ওয়ার্ল্ড রিস্ক রিপোর্ট' টি বিশ্ব জুড়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসার পরিস্থিতি কোথায় কেমন তারই একটা পূর্বাভাষ। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্প এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের তালিকায় রয়েছে ১৭৩টি দেশ। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুর। আর সবচেয়ে কম প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। জার্মানিও রয়েছে এই তালিকায়, তাদের অবস্থান ১৫০ নম্বরে। জার্মানে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে বড় মাপের ক্ষতির আশঙ্কা তুলনামূলক ভাবে অনেক কম।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি মাত্রায় সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে উন্নয়শীল দেশগুলো। যে তালিকায় রয়েছে ল্যাটিন অ্যামেরিকা, আফ্রিকা মহাদেশ আর এশিয়ার মত মহাদেশ। গবেষণার রিপোর্টে ফিলিপাইন, বাংলাদেশ, গুয়াতেমালা, কম্বোডিয়া ও এল সালভাদোরকে আগাম সতর্কবাণী দেয়া হয়েছে। এ সব দেশ বিপদজনক ঝুঁকির তালিকার শীর্ষে রয়েছে।
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, গরীব দেশগুলোর পক্ষে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার মত পরিস্থিতি তৈরি করা সম্ভব হয় না। ফলে বিপর্যয় এলে প্রকৃতিক দুর্যোগের কাছে অসহায় মানুষের হার মানা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।

ধানের তুষ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন


ধানের তুষ থেকে তৈরি বিদ্যুৎ পাল্টে দিচ্ছে বিহারের গ্রামাঞ্চলের চিত্র।
হাস্ক পাওয়ার সিস্টেমস নামে একটি বেসরকারি সংস্থা তাদের এই অভিনব প্রকল্পের জন্য এবছরের অ্যাশডেন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। হাস্ক পাওয়ার সিস্টেমস- যার মাধ্যমে বিহারের প্রায় দু'লক্ষ গরিব মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে।
আর সব চেয়ে মজার ব্যাপার হল, এই বিদ্যুতের কাঁচামাল হল ধানের তুষ বা ওই জাতীয় বায়োমাস, বিহারের গ্রামেও এর কোনও অভাব নেই। ফলে উৎপাদনের খরচাও অনেক কম।

Monday, June 20, 2011

সৌর শীতলীকরণ প্রযুক্তি


সোলার-কুলিং টেকনোলজি বা সৌর শীতলীকরণ প্রযুক্তি পরিবেশ বান্ধব সেকথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। ঘর ঠান্ডা রাখার জন্যে অথবা পুরো ভবন ঠান্ডা রাখার জন্যে বিভিন্ন জায়গায় সোলার ইউনিট ব্যবহৃত হচ্ছে সফলভাবে। এবং এতে দেখা গেছে, ঐতিহ্যগতভাবে এয়ার কুলিং পদ্ধতির জন্যে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যয় হচ্ছে, সোলার পদ্ধতিতে তার চেয়ে শতকরা ৫০ থেকে ৮০ ভাগ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে।
ভবিষ্যতে খাবার প্যাকেজিং-এর ক্ষেত্রে হয়তো ‘‘কুলড বাই সানলাইট'' এই কথাটিই ব্যবহৃত হবে। সোলার কুলিং ইউনিটের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ফলমূল এবং শাকসব্জি টাটকা রাখা সম্ভব এটিই এখন বাস্তবতা।

উন্নয়নশীল দেশের জনগণের জন্যে সোলার কুলিং প্রযুক্তি বেশি লাভজনক হতে পারে। বিশেষ করে রেফ্রিজারেটর যেসব জায়গায় বিলাসী সামগ্রীর তালিকায় পড়ে এবং শহর অঞ্চলে ফ্রিজ সচল রাখতে যেখানে বিদ্যুতের প্রয়োজন। এমন কি অনেক দরিদ্র দেশেই ওষুধপত্র ঠান্ডা রাখাটাও একটা কঠিন বিষয়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে।
জার্মানির ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউট ফর সোলার এনার্জি সিসটেম বা আইএসই-র বিজ্ঞানীরা বারবারই বলছেন যে সোলারকুলিং বা সূর্যরশ্মির মাধ্যমে শীতলীকরণ এখন এক বাস্তবতা। এমন কী গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলোতেও।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন সমর্থিত ভূমধ্যসাগরীয় সোলার কুলিং বা মেডিসকো প্রকল্পের একটি অংশ হিসেবে আইএসই বিজ্ঞানীরা টিউনিশিয়া এবং মরোক্কোর একটি খামারে সোলার ইউনিট সংস্থাপন করেছেন। ফ্রাউনহোফার আইএসই'এর বিজ্ঞানী টোমাস নুনেস বলেছেন, রৌদ্রউজ্জ্বল দেশগুলোর জন্যে এই প্রযুক্তি অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। যেসব জায়গায় ঠান্ডা রাখার প্রযুক্তি ব্যবহারে জটিলতা রয়েছে। তিনি বলেন, সোলার কুলিং পরিবেশ বান্ধব এবং এই পদ্ধতি রেফ্রিজারেটরের জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যয়বহুল বিদ্যুতের চাহিদাও হ্রাস করবে। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের জন্যে এটি ক্রয় ক্ষমতার বাইরে অর্থাৎ অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তবে পরিবেশ বান্ধব হওয়া সত্ত্বেও এই পদ্ধতি বাজরজাত করার জন্যে এখনও সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নেই বলে বিশেষজ্ঞরা জনিয়েছেন।

lowhajong map